বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ও দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে মোট ২৫ টি ভ্রমণের স্পট রয়েছে, এরমধ্যে ১৮টি স্পট মোটরবাইক, অটোরিকশা, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, মাইক্রো দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন, তবে টুরিস্ট ভোট দিয়ে সমুদ্রপথে আপনার ৭টি ভ্রমণ স্পট রয়েছে ভ্রমণের জন্য। এই ২৫টি ভ্রমণ স্পট এর মধ্যে লেবুর বন অন্যতম। তবে লেবুর বন নিয়ে রয়েছে ছোট্ট গল্প, লেবুর বন নাম শুনলে আপনি মনে করবেন এখানে হয়তো লেবু গাছের বাগান, জাতীয় কিছু একটা, অথবা লেবু বাগানের অসাধারণ কিংবা ব্যতিক্রমী কিছু দেখানো হয় বা পাওয়া যায়, এমনটা কল্পনা করে থাকতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে আপনার কল্পনা তেমন কিছুই নেই লেবুর বনে। লেবুর বন কথাটি এসেছে লেম্বুর বন থেকে। লেম্বু ছিল রাখাইন সম্প্রদায়ের একটা মেয়ের নাম, এক সময় তাদের বসতবাড়ি বাগান ছিল এখানে, সমুদ্রের করাল গ্রাসে তাদের সেই ঘরবাড়ি জমি-জিরাত সবি হারিয়ে গেছে। রয়ে গেছে শুধু বাগানের এলাকার কিছু অংশ, আর নামটাও ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে লাগলো, মানুষের প্রচারণ বেড়ে যাওয়ায় পরে লেম্বু থেকে লেবুর বনে পরিচিতি লাভ করে। এই অপরূপ স্থানটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৮কিলোমিটার পশ্চিমে আন্ধারমানিক নদী আর সাগরের মোহনার কাছে অবস্থিত স্থানটি, লতাচাপলী ইউনিয়ন দক্ষিণ-পশ্চিমের শেষ বিন্দু এটি, সেই সাথে পটুয়াখালী জেলার বন বিভাগের সংরক্ষিত বন। পশ্চিমে আন্ধারমানিক নদীর মোহনা ওপারে ফাতরার বন, একটু মনোযোগ দিয়ে তাকালেই দেখতে পারবেন, ফাতরার বন আপনাকে সবুজ বেষ্টনী হাতছানি দিয়ে ডাকছে, বরগুনা জেলায় তালতলী উপজেলা পড়ছে বলে তাকে এড়িয়ে না যেতে মিনতি জানাচ্ছে। এবং সময়ের সাথে লেম্বুর বন পরিবর্তনে সবার কাছে এখন পরিচিত লেবুর বন নামে।